আইয়ামে তাশরীক এর সময়

ইসলামের আলোকে আইয়ামে তাশরীক এর সময়

মহাগ্রন্থ পবিত্র কুরআনুল কারীমের সূরা বাকারাতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন- وَ اذْكُرُوا اللهَ فِیْۤ اَیَّامٍ مَّعْدُوْدٰتٍ.
অর্থাৎ তোমরা নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহকে স্মরণ কর। -সূরা বাকারা (২) : ২০৩

ইবনে আব্বাস রা. বলেন, এখানে اَیَّامٍ مَّعْدُوْدٰتٍ তথা নির্দিষ্ট দিনগুলো দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আইয়ামে তাশরীক। (সহীহ বুখারী, বাবু ফাদলিল আমাল ফী আইয়ামিত তাশরীক; মারিফাতুস সুনানি ওয়াল আছার, হাদীস ১০৮৭২)।

অন্য আরেক হাদীসে এসেছে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- أَيّامُ التّشْرِيقِ أَيّامُ أَكْلٍ، وَشُرْبٍ، وَذِكْرِ اللهِ.
আইয়ামে তাশরীক পানাহার ও আল্লাহর যিকিরের জন্য। - মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২০৭২২

আইয়ামে তাশরীকে সাহাবাদের আমল।

এই দিনগুলোতে সাহাবায়ে কেরাম সর্বদা আল্লাহু আকবারের ধ্বনি তুলতেন। হযরত ইবনে উমর রা. ও আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বাজারে গিয়ে তাকবীরের আওয়াজ তুলতেন। শুনে শুনে লোকেরাও তাদের সাথে তাকবীরের সুর তুলত।

আইয়ামে তাশরীক কখন ওয়াজিব হয়?

০৯ জিলহজ ফজর হতে ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরয নামাযের পরক্ষণেই অনতিবিলম্বে তাকবীরে তাশরীক পাঠ করা ওয়াজিব।

উক্ত দিনসমূহে প্রত্যেক ফরয নামাযের পর প্রত্যেক মুসলমান, চাই সে গোলাম হোক, কিংবা স্বাধীন হোক, মুসাফির হোক, কিংবা মুকীম হোক, একাকী আদায়কারী হোক কিংবা জামায়াতে আদায়কারী হোক- সবার জন্য তাকবীরে তাশরীক ওয়াজিব।

  • পুরুষগণ তাকবীরে তাশরীক জোরে বলবে।
  • মহিলাগণ তাকবীরে তাশরীক আস্তে বলবে।
  • মাসবুক ব্যক্তি(যে শুরু থেকে ইমামের অনুসরণ করতে পারেনি।) নিজ নামায শেষ করার পর তাকবীরে তাশরীক পাঠ করবে।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে তাকবীরে তাশরীক যথাযথভাবে পাঠ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

Our Affiliations ( Flight )
  • kuwait
  • emirates
  • saudia
  • biman
  • qatar
  • Air Arabia Logo
Our Affiliations ( Hotels )
  • raffles
  • inter continental
  • conrad
  • hilton
  • sahaza
  • Hyatt logo