‘তাকবীরে তাশরীক’ এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
‘তাকবীরে তাশরীক’ এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। বর্ণিত আছে, যখন ইবরাহীম আ. তাঁর পুত্র ইসমাঈল আ. কে জবাই করতে উদ্যত হলেন, তখন জিবরাঈল আমীন বললেন- আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার। অত:পর ইসমাঈল আ. বললেন- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার (আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই আর আল্লাহ মহান)। তখন ইরবাহীম আ. বললেন- আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ (আল্লাহ মহান আর তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা)। এরপর থেকে এটি ইসলামের বিধান হিসাবে নির্ধারিত হলো। (তাফসীরে কুরতুবী)
বুঝা গেল- ‘তাকবীরে তাশরীক’ হলো ইবরাহীম আ. কর্তৃক তাঁর পুত্র ইসমাঈল আ.কে যবেহকালীন সময়ের কিছু উক্তির স্মৃতিচারণ। যা আজও আমাদের শরীয়তের বিধান হিসাবে প্রচলিত রয়েছে।
মুসলমানগণ প্রতি বছর ০৫ দিন ইবরাহীম আ. এর সেই বরকতময় স্মৃতিচারণ করে থাকে তাকবীরে তাশরীক পাঠের মাধ্যমে। তাকবীরে তাশরীক পাঠের মাধ্যমে মুসলমানদের মাঝে সেই চেতনা কাজ করে। অতএব ইবরাহীম আ. ও তাঁর পুত্র ইসমাঈল আ. এর স্মৃতিবিজড়িত ‘তাকবীরে তাশরীক’ ইসলামে শরীয়তে বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে তাকবীরে তাশরীক যথাযথভাবে পাঠ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।