হজ নির্দেশিকা । বাংলাদেশিদের জন্য হজ পালনের ধারাবাহিক নিয়ম ও দোয়া
হজ একটি ফরয ইবাদত। এটি ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। শারীরিক ও
অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানদের জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করা
আবশ্যক। হজ পালনের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ও দোয়া রয়েছে। এখানে
হজ নির্দেশিকা এবং বাংলাদেশি হাজিদের জন্য
হজ পালনের ধারাবাহিক নিয়ম ও দোয়াগুলো
বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
হজের প্রস্তুতি থেকে শুরু করে, তাওয়াফ, সাঈ, আরাফাতে অবস্থান, এবং অন্যান্য
রীতিনীতি সঠিকভাবে পালন করার জন্য এ নিয়মগুলো জানা জরুরি। পুরো ব্লগটি পড়ুন
এবং পুণ্যময় সফরকে সহজ করুন।
একই সফরে ভিন্ন ইহরামে হজ ও উমরাহ পালন করাকে হজে তামাত্তু বলে। বাংলাদেশ
থেকে যারা হজে যান তারা সাধারণত তামাত্তু হজ পালন করেন। হজ তামত্তুর নিয়মগুলো
নিচে দেওয়া হল:
ইহরাম পরিধান: মিকাতে বা মিকাতের পূর্বে ইহরাম পরিধান করা (প্রথমে
মক্কায় গেলে বাংলাদেশ বিমানবন্দরে ইহরাম পরিধান করে নেওয়া যেতে পারে)।
কাবায় গমন: মক্কা পৌঁছে হোটেলে লাগেজ রেখে সামান্য বিশ্রাম নেওয়া।
এরপর অজু করে মুআল্লিমের সাথে কাবায় যাওয়া।
তাওয়াফ: সাতবার কাবার চারপাশ প্রদক্ষিণ করা। সম্ভব হলে
হাজর-এ-আসওয়াদ চুম্বন করা। সম্ভব না হলে হাজরে আসওয়াদের দিকে হাত দিয়ে
ইশারা করে হাতে চুম্বন করা।
রমল ও ইজতিবা করা: তাওয়াফের সময় দ্রুত হাঁটা (রমল করা) এবং ইহরামের
চাদর ডান হাতের নিচে এনে বাম কাঁধে রাখা যাতে ডান কাঁধ ও বাহু খোলা থাকে
(ইজতিবা করা)। এগুলো তাওয়াফের সুন্নত।
সাঈ: সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝে সাত বার সাঈ করা, সাফা থেকে শুরু
করে মারওয়ায় গিয়ে শেষ করা।
হলক বা কসর করা: মাথা মুণ্ডানো (হলক) বা চুল কাটা (কসর)।
এই রীতিগুলি সম্পন্ন করার পর, হজের পূর্বে সময় থাকলে হাজিগণ ইহরাম খুলে
মদিনায় যেতে পারেন।
নোট:
হজ কিরান: একই সফরে একই ইহরামে হজ ও উমরাহ পালন করাকে হজে কিরান
বলে। হজে কিরানের ক্ষেত্রে উপরের সব রীতি মানতে হয়। কেবল ইহরাম খুলে
হালাল হওয়া যায় না।
হজ ইফরাদ: এক সফরে কেবল হজ করা এবং উমরাহ না করা। এমন হজের
ক্ষেত্রে উপরের রীতিগুলো প্রযোজ্য নয়।
হজের মূল কাজসমূহ
হজের মূল কাজগুলি ৮ই জিলহজ থেকে ১২ই জিলহজ পর্যন্ত পালন করতে হয়। এই সময়ের
কাজগুলো হল:
৮ই জিলহজ:
হোটেল বা কাবা শরীফে ইহরাম পরিধান করা এবং মক্কা থেকে মিনায় গমন করা। এখানে
যোহর, আসর, মাগরিব, এশা, এবং পরের দিন ফজর, মোট পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা।
৯ই জিলহজ:
এদিন সকালে মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে চলে যাওয়া। সেখানে যোহর ও আসর একত্রে
আদায় করে নেওয়া। মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত তালবিয়া,
তাহমিদ, দুআ-দরুদ ও ইস্তেগফার পাঠ করা। সূর্যাস্তের পর মুজদালিফায় চলে এসে
মাগরিব ও এশা একত্রে আদায় করা। ফজরের পর ফের মিনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যাওয়া।
১০ই জিলহজ:
মুজদালিফা থেকে মিনায় চলে যাওয়া এবং কেবল বড় শয়তান অর্থাৎ জুমরাতে উকবায়
সাতটি পাথর নিক্ষেপ করা। পাথর নিক্ষেপের পর কোরবানি সম্পন্ন করে মাথা মুন্ডন
বা চুল খাটো করা। মাথা মুন্ডন শেষ হলে তাওয়াফে যিয়ারত করা।
১১ই জিলহজ:
শয়তানের তিনটি স্তম্ভে ৭টি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করা।
১২ই জিলহজ:
শয়তানের তিনটি স্তম্ভে পুনরায় ৭টি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করা। ১২ তারিখের পর
থেকে হাজিগণ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন।
হজ পালনের দোয়াসমূহ
হজ পালনের সময় নির্দিষ্ট কিছু দোয়া রয়েছে। এ দোয়াগুলো হল:
তাওয়াফের দোয়া:
প্রত্যেক চক্কর তাওয়াফ শেষ করে এবং শেষ চক্করের পরে ‘হাজরে আসওয়াদ’কে চুম্বন
করা। সম্ভব না হলে দূর থেকে ইশারা করে ‘বিসমিল্লাহে আল্লাহু আকবর
ওয়ালিল্লাহিল হামদ’দোয়াটি পাঠ করা।
For you desired umrah packages & prices please feel free to send us a
mail. You will get details of our umrah packages from us within very
short time In Sha Allah. For any urgency please call us:
হলি হজ ও উমরাহ বাংলাদেশ দেশের সেরা হজ ও উমরাহ ট্র্যাভেল
অ্যাজেন্সি। হজ প্রশিক্ষণ,
ভিসা প্রসেস, বিমান টিকিট, এবং
হোটেল ব্যবস্থাপনা করাসহ আমরা হজ ও উমরাহর
প্রয়োজনীয় সকল সেবা প্রদান করি। আপনি যদি প্রয়োজনীয় সকল নিয়ম মেনে হজ পালন
করার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে এখনই আপনার
প্যাকেজ বুক করুন।
পাসপোর্ট, ভিসা, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে
নেওয়া। হজের রীতিনীতি, টিকিট, এবং ভ্যাকসিনেশনের বিষয়ে ভালোভাবে
জানা এবং অনুমোদিত কোনো অ্যাজেন্সির সহায়তা নেওয়া।
হজ পালনের ধাপগুলো কী কী?
হজ পালনের ধাপগুলো হল:
ইহরাম পরিধান করা।
তাওয়াফ করা।
সাঈ করা।
আরাফায় অবস্থান।
মিনায় পাথর নিক্ষেপ।
কুরবানি করা।
মাথা মুণ্ডানো বা চুল কাটা।
কীভাবে একটি সঠিক হজ প্যাকেজ কীভাবে নির্বাচন করতে হয়?
এক্ষেত্রে হজ সেবা প্রদানকারী অনুমোদিত এবং অভিজ্ঞ ট্রাভেল
অ্যাজেন্সির সহায়তা নেওয়া। আগে যারা হজ করেছে এমন হাজি সাহেবদের
থেকে পরামর্শ গ্রহণ করা।
হজে সাধারণ ভুলগুলো কী কী?
সাধারণ ভুলগুলোর মধ্যে রয়েছে হজের কোনো রীতি বাদ দেওয়া।
মুয়াল্লিমের নির্দেশনা না মানা এবং ইবাদতের পরিবর্তে বস্তুগত
বিষয়ের প্রতি বেশি মনোযোগী হওয়া।